নদীতট সমালোচিত হয় অবিবাহিত গল্পে।
রোজের কাহিনীতে আসে নোংরামি, আসে নষ্টামি
আসে চরিত্র খচিত নতুন কিছু শব্দগুচ্ছ।
লেখা হয়ে যায় সমালোচকদের আরও বেশ কিছু পাতা।
সন্ধ্যা নামে এ–ভাবেই ক্লান্ত নদীতটে।
তোমার নিঃশ্বাসের উষ্ণতায় জড়াই নিজেকে।
স্থির জলে চোখ যায়
বুনতে থাকি অন্যমনস্কতায় আমাদের ঘর।
বটের ঝুরিগুলো কুয়াশা মেখে আমাদের গল্পের
বালুচর স্নিগ্ধ করে
আমরা জড়িয়ে ধরি অলীক সুখ
জড়িয়ে ধরি অবাধ্যকর স্বপ্ন
জড়িয়ে ধরি বাস্তবতার চাদরে বোনা অবাস্তবিক প্রেমকে।
আমি ঘন ঘন শ্বাস ফেলি তোমার খাঁজ কাটা ঠোঁটে।
অথচ কী আশ্চর্য!
প্রেম আছে,
ভালোবাসা আছে,
আদর আছে,
যোনিপথে হতাশা আছে,
অশারীরিক সুখ আছে
আত্মায় আশক্তি আছে…
কিন্তু, নেই কোনো স্বপ্ন-বিলাসিতা
এ গল্পের নেই কোনো বিধিসম্মত বাঁধন।
শুধু আছে নতুন শব্দে মোড়া
নষ্ট শরীর দুটোর ঐতিহ্য।
সাদা কুয়াশা জমে অন্ধকারের ছিদ্রে,
বুক ছটফট করতে থাকে।
নদীর দু’তট প্রেমে মগ্ন সেতুবন্ধনে
পূর্ণিমার গোল চাঁদ লজ্জা লোকায় অন্তর্বাসে
শাঁখ বেজে ওঠে পার্শবর্তী কালী মন্দিরে…
হঠাত্ জাগ্রত হয় ক্ষোভ
নষ্ট হয় সন্ধ্যা
বিলাপে কাঁদে বেহিসাবি রাস্তার ধার—
নদীতট আবারও গাঁথে আড়বাঁশিতে রাধা-কৃষ্ণ-লীলা।
আমি বাস্তবতায় ডুবতে থাকি আবার
ফিরতে থাকি অচেনা পথ ধরে চেনা জীবনে।
তোমার সুখের শাঁখ,তোমার নেওয়া দায়িত্বের ভার,
তোমার ভাগ্যবতীর সিঁদুরে
আবারও অস্তিত্ব পায় আমার পড়া ইতিহাসে।